শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃজেলা ও বিভাগে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবাদানের জন্য চার বারের শ্রেষ্ঠত্ব পুরষ্কারআর্জন করা রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অর্ধেক জায়গা দখল করে কয়েক ব্যক্তি স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেরেখেছে। বিষয়টি জেনে স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সরকারি জায়গা উদ্ধার করতে সংশ্লিষ্টদের নিদেশদিয়েছেন। জানা যায়, সরকারি সম্পক্তির উপর অবৈধ ভাবে নির্মিত স্থাপনা সরিয়ে নিতে ইতিপূর্বে প্রশাসন থেকে বার বার তাগাদা দেয়াহয়েছিল। দখলদারগণ এতে কর্ণপাত করেনি। তারা বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করিয়ে তা সরিয়ে নিতে চাচ্ছেন না। খবর নিয়ে জানাযায় আলোচিত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির সেবা নিয়ে গত পাঁচ বছর থেকে মাসিক গড়ে ৩০জন গর্ভবতী মা নিরাপদ সন্তান প্রসবকরছেন। মা শিশুদের সফল ভাবে সেবা দিয়ে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দুই হাজার ১৭ সাল থেকে প্রতিবছর শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুরষ্কারপাচ্ছে জেলা পর্যায় থেকে। সর্বশেষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি শ্রেষ্ঠত্বের পুরষ্কার নিয়েছে বিভাগীয় পর্যায় থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে ১৯৮৬সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার জন্য ৪৫ শতক জায়গা দিয়েছিল স্থানীয় এক দানশীল ব্যক্তি। পরে ২২ শতক জায়গার উপরস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও আশপাশের অবশিষ্ট জায়গা খালি পড়েছিল। এই সুযোগে কতিপয় ব্যক্তিস্থাস্থ্য কেন্দ্রে জায়গা জবরদখল করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে ফেলে। সম্প্রতি সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের রোগির চাপ বাড়লে সংস্কার প্রয়োজন হয়। রেকর্ডপত্র যাছাইয়ে দেখা যায় এই প্রতিষ্ঠানেরভ‚মির পরিমান ৪৫ শতক। বর্তমানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২২ শতক জায়গা দখলে থাকলেও বাকি জায়গা অবৈধ দখলদারদের কবলেচলে গেছে। দখল করে রাখা জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী পাকা অবকাঠামো। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা.মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনঘটনা স্বীকার করে বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি পরিমাপ করেগেছেন। তিনি অবৈধ দখলদারদের জায়গা ছেড়ে দিতে বলায় কিছুর জায়গা দখলমুক্ত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে আরো প্রায় ২২শতক জায়গা অবৈধ দখলদারিত্বে রয়েছে। এই জায়গা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রশাসন। জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন সরকারি জায়গা যে বা যারা জবরদখলকরেছে তাদের কাছ থেকে সেই জায়গা উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছে। অতিদ্রæত অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গায় অবৈধ ভাবেনির্মিত সব অবকাঠামো ভেঙ্গে দেয়া হবে ।
Continue reading