শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়তে হবে -কোয়েপাড়া বিদ্যালয়ের বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তারা

যীশু সেন :
শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের কর্ণধার ও দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের চেতনায় থাকবে মনুষ্যত্ব বোধের দীক্ষা, মন মানসিকতা হবে সুন্দর। শিক্ষা মানব সমাজের অমূল্য সম্পদ। শিক্ষাকে পাশ কাটিয়ে উন্নত মেধাসম্মত দেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়তে হবে। মানুষের অন্তর্নিহিত পরিপূর্ণ বিকাশই হলো শিক্ষা। আর তার পথ প্রদর্শক হলেন শিক্ষক। শিক্ষক হলেন জাতির মেরুদণ্ড গড়ার প্রধান কারিগর। একজন শিক্ষকের ভূমিকা ব্যতিত কোন জাতিই শিক্ষিত জাতিতে পরিণত হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের এই বিদায় নেওয়াটা যোগ্যতা, মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অমিত সম্ভাবনা মেলে ধরার বিদায়।

রাউজানস্থ কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের আয়োজনে এস.এস. সি পরীক্ষার্থী বিদায় সংবর্ধনা, নবীন বরণ, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণ, বৃত্তি প্রদান, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গত ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কথামালা পর্বে বক্তারা একথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আনছারুল আলম চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান ১৪ নং বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূপেশ বড়ুয়া।

উদ্বোধক ছিলেন শিক্ষানুরাগী ও সমাজ হিতৈষী কাঞ্চন দাশ গুপ্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহামুনি এংলো পালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন বড়ুয়া, দক্ষিণ রাউজান পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রকাশ সরকার, ১৪নং বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চম্পক মিত্র, রাউজান প্রেস ক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও দৈনিক ইনফো বাংলার সিনিয়র সাব-এডিটর যীশু সেন।

অনুষ্ঠান স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দত্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দীন। শিক্ষিকা শিবানী চক্রবর্তী ও মৌসুমি মুৎসুদ্দি দ্বৈত সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর শহীদুল্লাহ কুতবী, প্রধান শিক্ষক সনজিত নন্দী, ডা. রাজু দে, আবু তালেব, সৈয়দা হারীম আহম্মদ, শিক্ষিকা রুম্পী চৌধুরী প্রমূখ। শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সংবর্ধনায় সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন শিক্ষিকা ও সংগীত শিল্পী রুম্পী চৌধুরী।

বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষিকা সোমা কানুনগো। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন রুম্পী চৌধুরী। বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের গান, নৃত্যসহ বিভিন্ন পরিবেশনায় পুরো অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হয়ে উঠে। গান, নৃত্য, কথামালায় পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিণত হয় শিক্ষক, শিক্ষিকা আর শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়।